শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে জনবল না থাকার কারণে অকার্যকর হয়ে পড়ছে এক্সেমেশিন, আল্ট্রামেশিন, ইসিজি, এ্যানেস্থিসিয়া, মাইক্রোস্কোপ, এনালাইজার, রেফ্রিজারেটর, জিন এক্সপার্ট মেশিন সহ ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি। বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা এসব যন্ত্রপাতির বিপরীতে কোন জনবল না থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রত্যাশীরা। পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিন ঘুরে ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, হাসপাতালের সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের এক্সেমেশিনটি ২০০২ সালে স্থাপন করা হলেও এ পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ করা হয়নি। ফলে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে এ মূল্যবান যন্ত্রটি। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে, বৈদ্যুতিক লোড কম থাকায় ১৮ বছরেও মেশিনটি তারা চালু করতে পারেনি।
২০১৪ সালে স্থাপন করা সাড়ে ৩লক্ষ টাকা মূল্যের আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিনও পড়ে আছে বেহাল অবস্থায়। হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এ মেশিন চালানোর জন্য দেয়া হয়নি কোন প্রকার লোকবল। ফলে পার্শ্ববর্তী বেসরকারি ক্লিনিক থেকে অতিরিক্ত মূল্যে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করছে রোগীরা।
একই হাল ইসিজি, এ্যানেস্থিসিয়া, মাইক্রোস্কোপ, এনালাইজার, রেফ্রিজারেটর, জিন এক্সপার্ট মেশিনেও। জনবল সংকটের কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না এসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, এ হাসপাতালে কোন প্রকার পরীক্ষাই আমরা করাতে পারিনা। শুনি সকল মেশিনই আছে। কিন্তু অপারেটর না থাকায় কাজ করানো যাচ্ছে না। এটা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
শাহাদাত মিয়া বলেন, হাসপাতালে পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় বেসরকারি ক্লিনিকে অধিক টাকা দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। আমারা গরীব মানুষ সরকারিভাবে পরীক্ষা করাতে পারলে উপকার হতো।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনাব মেঘনাধ সাহা বলেন, এসব যন্ত্রপাতি জন্য লোকবল চেয়ে আমি অনেকবার চিঠি দিয়েও পাইনি। এ সব যন্ত্রপাতি চালানোর লোকজন থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো। আমাদের প্রত্যাশা দ্রুতই এখানে লোকবল দেয়া হবে।