শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলাধীন কাঁচিকাটা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফসল ফসলাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা বর্ষনের ফলে শত শত কৃষকের আলু, গম, মরিচ, করলা, টমেটো, শশা সহ শীতকালীন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এলাকাজুড়ে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়ে হাহাকার, ঋণগ্রাস্থ কৃষদের চোখে হতাশার ছাপ। ভেদরগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বেশী শীতকালীন সবজি উৎপন্ন হয় পদ্মা-মেঘনা বেষ্টিত এ চর ইউনিয়নটিতে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় চলাকালীন সময় থেকেই নিজ ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রাস্থ কৃষকদের খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেন কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান। বুধবার ক্ষতিগ্রাস্থ এলাকায় কৃষকদের খোঁজ খবর নিতে গেলে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে অনেক কৃষক। এসব কৃষকদের বেশীর ভাগ ফসলই এখন পানির নিচে। জলাবদ্ধতার ফলে নষ্ট হয়েছে আলুর কুঁড়ি, গম, মরিচ, পটল, কপি সহ সকল প্রকার শীতকালীন ফসল।
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের শুরু থেকে আমাদের নেতা পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এলাকার খোঁজ খবর নিতে থাকেন। তার নির্দেশেই আজকে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রাস্থ কৃষকদের খোঁজ খবর নিয়েছি। কৃষকরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রাস্থ কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে স্বাধ্যমত চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, টানা বর্ষণে আলু চাষী, গম চাষী, মরিচ চাষী, টমেটো চাষী সহ প্রায় ৫শ কৃষকের ১ হাজার কানি ফসল ক্ষতিগ্রাস্ত হয়েছে। আমি বিষয়টি কৃষি দপ্তরে অবহিত করেছি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রাস্থ এলাকা গুলো চিহ্নত করছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের নালা কেঁট পানি নিঃস্কাশনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করা হবে।